সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্স এর ৬৪ তম ব্যাচের ভর্তির তারিখ ও ভর্তির নিয়ম।

সি ক্যাটাগরি ফার্মাসিস্ট কোর্স বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল বা পিসিবি এর তত্বাবধানে পরিচালিত একটি কোর্স। গত জানুয়ারিতে ৬৩ তম সি ক্যাটাগারি ফার্মাসিস্ট কোর্স শেষ হলেও এখনো ৬৪ ব্যাচের কোন শিডিউল বা নোটিশ জারি করা হয়নি। ফলে যারা ফার্মেসী ব্যবসায় আসতে চাচ্ছেন তারা অনেকটা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। কারন সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্স করার মাধ্যমে একটি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং সনদ পাওয়া যায় যা দিয়ে পরবর্তীতে ড্রাগ লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। একটি ফার্মেসী দেয়ার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স অত্যাবশ্যকীয়। ফলে এই ড্রাগ লাইসেন্স না বানাতে পেরে অনেকেই দোকান ভাড়া নিয়েও এখনো দোকানে ওষুধ তুলতে পারছেন না। এখন প্রশ্ন হলো ৬৪ ব্যাচ কখন শুরু হবে? গতবছর ফেব্রুয়ারি তে ৬২ ব্যাচের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল এবং এপ্রিলে ৬৪ ব্যাচের ভর্তি শুরু হয়েছিল। সেই হিসেবে এবার আরো আগেই ৬৪ ব্যাচে ভর্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারনে এবছর সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্স শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সুখবর হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসে ৬৪ ব্যাচের ভর্তি শুরু হয়ে যাবে।

সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হবার নিয়ম:

সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি নেয়া হয় অনলাইনে। অফলাইনে কোন ভর্তি নেয়া হয়না। https://pcb.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভর্তি শুরু হবার কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে যেখানে ভর্তির তারিখ এবং ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে। তারপর নির্ধারিত তারিখে https://pcbapps.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় সকল ডকুমেন্ট সঠিকভাবে সাবমিট করতে হবে। ডকুমেন্টে কোন ভুল থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ফি হিসেবে যেই টাকা পরিশোধ করবেন তা আর ফেরত পাবেন না। তাই অবশ্যই ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করার সময় কয়েকবার চেক করে নিবেন।

সি ক্যাটাগরী ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা:

১। প্রথমত আবেদনকারীকে এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় যেকোন বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। 

২। আবেদনকারীর বয়সসীমা ১৭-৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

৩। আবেদনকারীকে ড্রাগ লাইসেন্সধারী কোন ফার্মেসী মালিকের অধীনে কর্মরত থাকতে হবে। 

ভর্তি আবেদনের সময় যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে:

১। এসএসসি বা সমমানের সনদপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত)

২। যে ফার্মেসীতে কর্মরত আছেন সে ফার্মেসীর মালিকের ড্রাগ লাইসেন্সের ফটোকপি (সত্যায়িত)

৩। ফার্মেসীর নিজস্ব প্যাডে মালিক কর্তৃক স্বাক্ষর করা প্রত্যয়নপত্র

৪। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি (সত্যায়িত)

৫। সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি

৬। কোর্সের নির্ধারিত ফি। কত টাকা ফি দিতে হবে তা বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর জানা যাবে। গতবার ৫০০০ টাকা নিয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top